রোজা অবস্থায় কি কি করা বৈধ? তবে সতর্কতা অবলম্বন করিবে।
Table of Contents
১★ জিহ্বা দিয়ে খাদ্য বা তরী-তরকারীর স্বাদ দেখতে পারবেন। তরকারী গলার ভিতর প্রবেশ না করলে সিয়াম অবস্থায় খাদ্যের স্বাদ দেখতে কোন অসুবিধা নেই।
দলীলঃ ইবনে আব্বাস (রঃ) বলেন, “কোন খাদ্য, সির্কা এবং কোন কিছু কিনতে হলে তা চেখে দেখতে কোন দোষ নেই।(বুখারী ২৭৫),(বাইহাক্বী ৪/২৬১)
২★ সুরমা ব্যবহার, চোখে বা কানে ঔষধ ব্যবহার করিতে পারিবেন।
দলীলঃ আনাস রাদিআল্লাহু আনহু, হাসান ও ইবরাহীম (রহ.) সিয়াম পালনকারীদের জন্য সুরমা ব্যবহার কোনরূপ অসুবিধা মনে করতেন না। (বুখারী ও আবু দাউদ ১/৩২৩)
৩★ শরীর বা মাথায় তেল ব্যবহার করিতে পারিবেন। দলীলঃ হজরত কাতাদা (রা.) বলেন, ‘রোজাদারের তেল ব্যবহার করা উচিত, যাতে রোজার কারণে সৃষ্ট ফ্যাকাশে বর্ণ দূর হয়ে যায়। -মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক: ৪/৩১৩
৪★ শুধুমাত্র রোগ আরোগ্যের জন্য ইনজেকশান বা ইনসুলীন নিতে পারবেন।
৫★ রোজা অবস্থায় স্ত্রীকে স্পর্শ করা বা কাছে বসে আদর করিতে পারিবেন, তবে সর্ত হলো নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার পূর্ণ ক্ষমতা থাকতে হইবে।
দলীলঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিয়াম অবস্থায় (স্ত্রী) চুম্বন করতেন, শরীরে শরীর স্পর্শ করতেন। কেননা, তিনি তার প্রবৃত্তির (যৌন চাহিদা) উপর তোমাদের চেয়ে অধিক নিয়ন্ত্রক ছিলেন। (বুখারী-১৯২৭)
৬★ রোজার মাসে রাত্রি বেলায় স্ত্রী সহবাস করিতে পারিবেন।
দলীলঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে সহবাস করে ফজর পর্যন্ত কাটিয়েছেন। অতঃপর গোসল করে ফজরের সালাত আদায় করছেন। (বোখারি : ১৮২৯, মুসলিম : ১১০৯)
৭★ কুলি করা, নাকে পানি দেয়া। তবে গড়গড়া করবে না। নাকের খুব ভিতরে পানি টান দিয়ে নেবে না।
দলীলঃ সিয়াম অবস্থায় না থাকলে অযুর সময় নাকের ভিতর উত্তমরূপে পানি টেনে নেবে। (তিরমিযী ৩য় ১৪৬)
৮★ গরম থেকে বাঁচার জন্য মাথায় শীতল পানি দেয়া, গোসল করা, ভিজা কাপড় গায়ে জড়িয়ে রাখতে পারিবেন।
দলীলঃ সিয়াম অবস্থায় তাপ বা পিপাসার কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মাথায় পানি ঢালতেন। (আবূ দাঊদ-২৩৬৫)
৯★ মিসওয়াক করিতে পারিবেন।
দলীলঃ রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, আমার উম্মতের কষ্টবোধ হবে এ আশঙ্কা না থাকলে প্রত্যেক অযুর সময় মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম। (বুখারী ৮৮৭)
১০★ সিংগা লাগানো যাবে।
দলীলঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিয়াম অবস্থায় নিজের শরীরে শিঙ্গা লাগিয়েছেন। (বুখারী-১৯৩৮)
১১★ কোন কিছুর ঘ্রাণ যেমম ফুলের বা আতরের ঘ্রাণ নিতে পারবেন। তবে ধুমপান, আগরবাতি ও চন্দন কাঠের ধোঁয়া বা ধুপ গ্রহণ করিতে পারিবে না।
লেখক
মোল্লা নাজিম উদ্দীন
ইসলামিক ব্লগ পড়ুনঃ এখানে ক্লিক করুন
আরও পড়ুনঃ আমির হামযা ওয়াজ
রোজা অবস্থায় কি কি করা বৈধ? ইনশাআল্লাহ্ আপনারা বুঝতে পেড়েছেন। তবে প্রতি ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করিবেন। আল্লাহ্ই ভালো জানেন। আল্লাহ্ হাফেয।
বিঃ দ্রঃ প্রতিটি লিখা অনেক কষ্ট করে লিখি তাই দয়া করে শেয়ার করে মানুষের নিকট পৌঁছে দিন। আপনিও আল্লাহর নিকট সাওয়াব পাবেন।