রোগীর জন্য অজুর বিধান

সে ব্যক্তিকে অযুর বিষয়ে ব্যতিক্রম মনে করা হয় যে এমন রােগ আক্রান্ত যার দেহ থেকে সব সময় অযু ভঙ্গকারী ব্তু বের হতে থাকে এবং এজন্য রোগীর এতটা সুযোগ নেই যে, পবিত্রতার সাথে নামায আদায় করতে পারে। যেমন:

১. চোখের রোগী সব সময়ই তার চোখ দিয়ে পিচুটি ময়লা অথবা সৰ সময় পানি বের হতে থাকে।

২. কারো পেটের রোগ এবং সর্বদা পায়খানা হতে থাকে।

৩. কারাে পেশাবের রােগে সব সময় ফোটা ফোটা পেশাৰ বের হয়।

৪. কারাে বায়ু নিঃসরণের রোগে সব সময় ব্যয় নিঃসরণ হতে থাকে।

৫. কারাে প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে সর্বদা মনি বা মুযি বের হয়।

৬. কোন মহিলার সব সময় ইস্তিহাযার রক্ত আসে।

৭. এমন রোগ যার সব সময় রক্ত বা পুঁজ বের হতে থাকে।

৮, কারাে নাকশিরা রােগে সর্বদাই নাক দিয়ে রক্ত পড়ে।

এসব সকল অবস্থায় বিধান হচ্ছে এটাই যে, এ ধরনের লােক প্রত্যেক নামাযের জন্য নতুন অযু করবে এবং অযু ততক্ষণ পর্যন্ত থাকবে যতক্ষণ না অন্য দ্বিতীয় কোন কারণ হয়েছে যার স্বারা অযু নষ্ট হয়। যেমন কারাে নাকশিরা রােগ রয়েছে। সে যােহর নামাযের অযু করল। এখন তার অযু আসর পর্যন্ত অবশিষ্ট থাকবে। কিন্তু নাকের শিরার রক্ত ব্যতীত যদি পেশাব করে বা বায়ু নিঃসরণ হয় তখন অযু নষ্ট হয়ে যাবে। রােগীর মাসয়ালা:

১. অক্ষম রোগী ব্যক্তি নতুন অযু করার পর ওয়াক্ত থাকা পর্যন্ত সে অযুতে ফরয, সুন্নাত, নফল সব নামাজ আদায় করতে পারবে।

২. সূর্য উঠার পর অজু করলে যে, সে অযুতে ফজরের নামায আদায় করা যায়। যোহরের জন্য দ্বিতীয়বার ওযু করার প্রয়োজন নেই; কিন্তু আসরের ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথে এ অজু সমাপ্ত হয়ে যাবে।

৩. কেউ ফযর নামাযের জন্য অযু করল। এরপর সূর্য উঠার পর তার অযু শেষ হয়ে গেল। এখন কোন নামায আদায় করতে হলে নতুন করে অযু করতে হবে। এ জাতীয় কোন রােগীর কোন নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত এমন পেল যে, এ সময়ের মধ্যে তার সে রােগ সম্পূর্ণ ঠিক হয়ে গেল । যেমন, কারাে সব সময়ে ফোটা ফোটা পেশাব নির্গত হয়। এখন তার যােহর থেকে আসর পর্যন্ত এক ফোটাও পড়ল না। তখন তার রােগের অবস্থা শেষ হয়ে গেল। এরপর যতবার পেশাবের ফোটা পড়বে ততবারই অজু করবে।

ISLAM


Get a Free E-Book

Get free islamic ebook.