সালাতের শরিয়ত সম্মত হওয়া প্রমাণিত হয়েছে একাধিক দলীল দ্বারা। নিম্নে তার কিছু বর্ণনা করা হলো:
প্রথমত:
কুরআন থেকে
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَأَقِيمُواْٱلصَّلَوٰةَوَءَاتُواْٱلزَّكَوٰةَ٤٣﴾ [البقرة: ٤٣]
“তোমরা সালাত কায়েম কর ও যাকাত প্রদান কর”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ৪৩]
তিনি আরো বলেন,
﴿إِنَّٱلصَّلَوٰةَكَانَتۡعَلَىٱلۡمُؤۡمِنِينَكِتَٰبٗامَّوۡقُوتٗا١٠٣﴾ [النساء : ١٠٣]
“নির্ধারিত সময়ে সালাত কায়েম করা মুমিনদের জন্য অবশ্য কর্তব্য”।[সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১০৩]
তিনি আরো বলেন,
﴿وَمَآأُمِرُوٓاْإِلَّالِيَعۡبُدُواْٱللَّهَمُخۡلِصِينَلَهُٱلدِّينَحُنَفَآءَوَيُقِيمُواْٱلصَّلَوٰةَوَيُؤۡتُواْٱلزَّكَوٰةَۚ٥﴾ [البينة: ٥]
“তারা তো আদিষ্ট হয়েছিল আল্লাহর আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে একনিষ্টভাবে তাঁর ইবাদাত করতে এবং সালাত কায়েম করতে ও যাকাত দিতে”। [সূরা আল-বায়্যিনাহ, আয়াত: ৫]
দ্বিতীয়ত:
হাদীস থেকে,
(১) ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«بني الإسلام على خمس، شهادة أن لا إله إلا الله، وأن محمداً رسول الله، وإقام الصلاة وإيتاء الزكاة، وحج البيت، وصوم رمضان».
“ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত। আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য মা‘বুদ নেই, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল এ সাক্ষ্য দান করা। সালাত প্রতিষ্ঠা করা। যাকাত প্রদান করা। বায়তুল্লাহর হজ করা। রামাদানের সাওম পালন করা”।[1]
(২) উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাদীস, যাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবলেন,
«الإسلام أن تشهد أن لا إله إلا الله وأن محمداً رسول الله r، وتقيم الصلاة وتؤتي الزكاة، وتصوم رمضان وتحج البيت إن استطعت إليه سبيلاً».
“ইসলাম হলো, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো মা‘বুদ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল এ সাক্ষ্য দেওয়া, সালাত প্রতিষ্ঠা করা, যাকাত প্রদান করা, রামাদান মাসেরসাওম পালন করা, সামর্থ্য থাকলে বায়তুল্লাহ-এর হজ করা”।[2]
(৩) ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা-এর হাদীস,
«أن النبي -r- بعث معاذاً إلى اليمن فقال: ادعهم إلى شهادة أن لا إله إلا الله وأن محمداً رسول الله، فإن هم أطاعوك لذلك فأعلمهم أن الله افترض عليهم خمس صلوات في كل يوم وليلة» [متفق عليه].
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মু‘আয রাদিয়াল্লাহু আনহুকে ইয়ামানে প্রেরণ করলেন এবং (তাঁকে) বললেন, যে, তুমি তাদেরকে (আহলে কিতাবদেরকে) (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু) আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য মা‘বুদ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল এ সাক্ষ্য দানের দিকে আহ্বান কর। যদি তারা এ দাওয়াত গ্রহণ করে তোমার আনুগত্য করে তবে তুমি তাদেরকে জানাও যে, আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের ওপর দিনে-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন”।[3]
তৃতীয়ত:
ইজমা
সকল মুসলিম পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয হওয়ার ওপর একমত হয়েছেন। আর তা ইসলামের ফরযসমূহের অন্যতম একটি ফরয।
সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম।