ওযু ভঙ্গের কারন:
দ্বিতীয় প্রকার
১. চিৎ হয়ে কাত হয়ে বা ঠেস দিয়ে ঘুমালে।
২. যে যে অবস্থায় জ্ঞান আর অনুভূতি থাকে না।
৩. যানাযা নামায ছাড়া অন্য যে কোন নামাযে অট্টহাসি দিলে।
৪. দুজনের গুপ্তাংগ এক সাথে মিললে এবং দু অংগের মাঝে কোন কাপড় বা কোন প্রতিবন্ধক না থাকলে বীর্যপাত ব্যতীতও অযু নষ্ট হয়।
৫. রােগ বা শােকের কারণে অজ্ঞান হলে।
৬. কোন মাদকদ্রব্য সেবনে বা ঘ্রাণ নেয়াতে নেশাগ্রস্ত হলে।
৭. শয়ন অবস্থায় নামায পড়তে পড়তে রােগী যদি ঘুমিয়ে যায়।
৮. নামাযের বাইরে যদি কেউ দু’জানু হয়ে বসে বা অন্য উপায়ে ঘুমিয়ে যায় এবং তার দু’ পাজর মাটি থেকে আলাদা থাকে তখন অযু নষ্ট হয়।
যেসব কারণে অযু নষ্ট হয় না:
১. নামাযের এমনকি সিজদাতে ও ঘুমালে।
২. বসে বসে ঝিমুলে।
৩. সতর উলংগ হলে, সতরে হাত দিলে, অন্যের সতর দেখলে।
৪. যখম থেকে রক্ত বের হয়ে যদি গড়িয়ে না পড়ে, যদি যখমেই থাকে।
৫. নাবালকের অট্টহাসিতে।
৬. যানাযায় অট্টহাসিতে।
৭. নামাজে অস্কুট শব্দে হাসলে এবং মুদু হাসলে।
৮. মহিলার স্তন থেকে দুধ বের হলে।
৯. অযুর পর মাথা বা দাড়ি কামালে বা নেড়ে করলে। ১০. মুখ, কান অথবা নাক দিয়ে কোন পোকা বের হলে।
১১. দেহ থেকে পোকা বের হলে।
১২. ঢেকুর উঠলে এমনকি দুর্গন্ধ ঢেকুর হলেও।
১৩. কাশি ও থুথু বের হলে।
১৪. পুরুষ মহিলা পরস্পর চুম্বন করলে।
১৫. মিথ্যা কথা বললে, গীবত করলে অথবা কোন পাপাচারমূলক কাজ করলে – (মাআল্লাহ)।