যে যে অবস্থায় অজু ফরজ

যে যে অবস্থায় অযু ফরয হয়:

১. প্রত্যেক নামাযের ক্ষেত্রে অযু ফরয, সে নামায ফরয হােক বা ওয়াজিবই হােক, সুন্নাত বা নফলই হােক ।

২. যানাযার নামাযে অযু করা ফরয ।

৩. সিজদায়ে তিলাওয়াতের অযু করা ফরজ।

যেসব অবস্থায় ওযু ওয়াজিব:

১. কাবা শরীফ তাওয়াফের ক্ষেত্রে।

২. কুরআন স্পর্শ করার ক্ষেত্রে।

যেসব কারণে অজু সুন্নত:

১. ঘুমানাের পূর্বে অযু করা সুন্নাত।

২. গোসলের পূর্বে অযু করা সুন্নাত

যে যে অবস্থায় অজু মুস্তাহাব:

১, আযান ও তাকবীর অজু মুস্তাহাব।

২. খুতবা পাঠের সময়-জুমার খুত্বা হােক বা বিবাহের খুত্ব।

৩, দ্বীনি শিক্ষা দেয়ার সময়কালে।

৪. যিকরে ইলাহীর সময়ে।

৫. ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পরে।

৬. মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেয়ার পরে।

৭. রাসূল (সা)-এর রওযা মুবারক যিয়ারতকালে।

৮. আরফার মাঠে অবস্থানের সময়কালে

৯. সাফা ও মারওয়া সাঈ তথা দৌড়ানোর সময়কালে।

১০. জানাবাত অবস্থায় খাবার পূর্বে।

১১. হায়িয-নিফাসের সময় প্রত্যেক নামাযের ওয়াক্তে।

১১. সর্বদা অযু অবস্থায় থাকা মুস্তাহাব বলে গণ্য।

ওযুর ফরয সমূহ:

অযুর ফরয চারটি। এ চারটির নাম মূলত ওযু। এ চারের ক্ষেত্রে কোন একটি বাদ গেলে বা চুল পরিমাণ কোন স্থান শুকনা থাকলে অযূ হবে। যেমন ঃ

১, একবার সমস্ত চেহারা ধুয়া। অর্থাৎ কপালের উপর মাথার চুলের গোড়া থেকে থুতনির নিচ এবং এক কানের গোড়া থেকে অন্য কানের গােড়া পর্যন্ত সমস্ত মুখমণ্ডল ধুয়া ফরয।

২. দু’হাত অন্তত একবার কুনুই পর্যন্ত ধুয়া।

৩. একবার মাথার এক চতুর্থাংশ মাসেহ করা।

৪. একবার দু’পা টাখনু পর্যন্ত ধুয়ে নেয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked

{"email":"Email address invalid","url":"Website address invalid","required":"Required field missing"}

ISLAM


Get a Free E-Book

Get free islamic ebook.