সালাত বাতিল (নষ্ট)-কারী বিষয়সমূহ:
নিম্নেবর্ণিত কর্মসমূহের যে কোনো একটি কর্ম সম্পাদনের দ্বারা সালাত বাতিল হয়ে যাবে।
(১) ইচ্ছাকৃত পানাহার করা।
যে ব্যক্তি সালাত অবস্থায় পানাহার করবে তার ওপর ঐ সালাত পুনরায় পড়া আবশ্যক হওয়ার ওপর আলিমগণের ইজমা বা ঐকমত্য রয়েছে।
(২) সালাতের স্বার্থ বহির্ভূত এমন বিষয়ে ইচ্ছাকৃত কথা বলা। এ ব্যাপারে যায়েদ ইবন আরকাম রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
«كنا نتكلم في الصلاة»
“আমরা সালাতে কথা বলতাম, আমাদের কেউ কেহ সালাতে তার পাশের সাথীর সাথে কথা বলতো।এমতাবস্থায় নিম্নের আয়াত অবতীর্ণ হলো,
﴿وَقُومُواْلِلَّهِقَٰنِتِينَ٢٣٨﴾ [البقرة: ٢٣٨]
“আল্লাহর উদ্দেশ্যে তোমরা বিনীতভাবে দাঁড়াও”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৩৮]
«فأمرنا بالسكوت ونهينا عن الكلام».
“অতঃপর আমরা চুপ থাকার আদেশ প্রাপ্ত হলাম। আর কথা বলা হতে নিষেধপ্রাপ্ত হলাম”।
এমনিভাবে ইজমা সংঘটিত হয়েছে ঐ ব্যক্তির সালাত ফাসেদ হওয়ার ব্যাপারে যে, সালাতের স্বার্থ বহির্ভূত ব্যাপারে ইচ্ছাকৃত কথা বলবে।
(৩) ইচ্ছাকৃত অনেক বেশি কাজ করা। আর অধিক কাজের পরিমাণ নির্ণয় করার মানদণ্ড হলো, সালাত আদায়কারীর দিকে দৃষ্টিপাতকারীর নিকট মনে হবে যে, সে সালাতের মাঝে নয়।
(৪) বিনা ওযরে ইচ্ছাকৃত সালাতের কোনো রুকন বা শর্ত ছেড়ে দেওয়া। যেমন বিনা অযুতে সালাত পড়া, বা ক্বিবলামুখী না হয়ে সালাত পড়া। অর্থাৎ ক্বিবলা ছেড়ে অন্য দিক হয়ে সালাত পড়া।
এ ব্যাপারে ইমাম বুখারী ও মুসলিম হাদীস বর্ণনা করেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ বেদুঈনকে বলেছেন, যে তার সালাত সুন্দর করে পড়তে পারে নি,
«ارجع فصل فإنك لم تصلّ»
“ফিরে যাও সালাত পড়, কেননা তুমি সালাত পড় নি”।
(৫) সালাতে হাসা। কারণ, হাসি দ্বারা সালাত বাতিল হয়ে যাওয়ার ওপর ইজমা সংঘটিত হয়েছে।
সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম