![যে ব্যক্তি রমযান মাসে বিয়ে করতে চায়](https://i0.wp.com/mizanurrahmanazhariwaz.com/wp-content/uploads/2019/10/%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%B0%E0%A6%AE%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A7%9F.jpg?fit=1024%2C578)
যে ব্যক্তি রমযান মাসে বিয়ে করতে চায়
প্রশ্ন
এক ব্যক্তি এক মেয়েকে ভালবাসে। সে ঐ মেয়েকে রমযান মাসে বিয়ে করতে চায়। তার সাথে কথাবার্তা বলতে চায়। রমযান মাসে ঐ মেয়েকে বিয়ে করতে ও রমযান মাসে তার সাথে কথাবার্তা বলার ক্ষেত্রে ইসলামে কি নিষেধাজ্ঞামূলক কোন বিধি আছে?
লোকটি মেয়েটিকে অনেক ভালবাসে এবং বিয়ে করতে চায়। আশা করি এ ব্যাপারে আপনারা আমাকে উপদেশ দিবেন।
উত্তর
আলহামদু লিল্লাহ।
ইসলামী শরিয়তে এমন কিছু নাই যা রমযান মাসে কেবল রমযানটি মাস হওয়ার কারণে বিয়েতে বাধা দেয়; কিংবা অন্য কোন মাসে বিয়ে করতে বাধা দেয়। বরং বছরের যে কোন সময় বিয়ে করা জায়েয।
কিন্তু রোযাদারের জন্য ফজর থেকে সূর্যাস্ত যাওয়া পর্যন্ত সময়ে পানাহার ও স্ত্রী সহবাস করা নিষিদ্ধ। তাই যে ব্যক্তি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে এবং রোযা নষ্টকারী বিষয়ে লিপ্ত হওয়ার আশংকা না করে তার জন্য রমযান মাসে বিয়ে করতে কোন আপত্তি নেই।
তবে বাহ্যতঃ দেখা যায়, যে ব্যক্তি রমযান মাসে তার দাম্পত্য জীবন শুরু করতে চায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে দিনের বেলায় সে নতুন স্ত্রী থেকে ধৈর্য রাখতে পারে না। তাই সে হারাম কাজে লিপ্ত হওয়া ও এ মর্যাদাবান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করার আশংকা থাকে। এভাবে সে কবিরা গুনাতে লিপ্ত হয়ে তার উপর রোযার কাযা পালন ও বড় কাফ্ফারা ওয়াজিব হতে পারে। বড় কাফ্ফারা হল একটি দাস আযাদ করা। দাস না পেলে দুইমাস লাগাতর রোযা রাখা। যদি রোযাও না রাখতে পারে তাহলে ষাটজন মিসকীনকে খাওয়ানো। যদি একাধিক দিন সহবাস করে থাকে তাহলে সে দিনগুলোর সংখ্যা যত ততটি কাফ্ফারা আসবে।
প্রশ্নকারীর জন্য উপদেশ হচ্ছে যদি তিনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার আশংকা করেন তাহলে তিনি যেন বিয়েটা রমযানের পরপর করেন। রমযান মাসে তিনি যেন নিজেকে ইবাদত করা, তেলাওয়াত করা ও কিয়ামুল লাইল পালন ইত্যাদি ইবাদতে ব্যস্ত রাখেন।
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।