![পিতামাতাকে না-জানিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন](https://i0.wp.com/mizanurrahmanazhariwaz.com/wp-content/uploads/2019/10/%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B9-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%B9%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8.jpg?fit=1024%2C578&ssl=1)
নও মুসলিম নারী তার পিতামাতাকে না-জানিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন
প্রশ্ন
প্রশ্ন: আমি চাইনিজ যুবতী। আমি একজন লেবানিজ মুসলিমকে বিয়ে করেছি। আমার ইসলাম গ্রহণের এটা প্রথম ও প্রধান কারণ। আমরা ইসলামি পদ্ধতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। কিছু কঠিন পরিস্থিতির কারণে আমাদের পরিবারকে না জানিয়ে আমাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। আপনার দৃষ্টিতে এটা কি হারাম? আমি বুঝাতে চাচ্ছি, এটা কি কুরআন বিরোধী?
উত্তর
আলহামদুলিল্লাহ।
আপনার পরিবার যদি এ কারণে এ বিয়েতে অসম্মতি দেয় যে, ছেলে ইসলাম ধর্মাবলম্বী এবং তারা আপনাকে অমুসলিম ছেলের সাথে বিয়ে দিতে আগ্রহী হয় তাহলে তাদের আনুগত্য করা আপনার উপর আবশ্যক নয়। তাদের অসম্মতিতে এ মুসলিম যুবকের সাথে আপনার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার অধিকার রয়েছে।
আপনি কোমলভাবে তাদেরকে রাজি করানোর চেষ্টা করুন। তাদের কাছে তুলে ধরুন যে, কোন অবস্থায় অমুসলিম ছেলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া আপনার ধর্মে বৈধ নয়। আর যদি আপনার পরিবার এ যুবকের ধর্মের কারণে নয়; বরং তার কিছু স্বভাব-চরিত্রের কারণে, আচার-আচরণের কারণে, কিংবা অন্য কিছু কারণে এ বিয়ের বিরোধিতা করে থাকে যা ধর্মের সাথে সম্পৃক্ত নয়; তাহলে এ লোককে বাদ দিয়ে অন্য কোন পাত্র খোঁজা আপনার জন্য ভাল। যে পাত্রের ব্যাপারে সকলে সম্মতি দিবে। কারণ পিতামাতা অমুসলিম হলেও তাদের সাথে সদাচরণ করার যে নির্দেশ মুসলিমকে দেয়া হয়েছে এটা তার মধ্যে পড়বে। যেমনটি আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন, “এবং দুনিয়াতে তাদের সাথে সদ্ভাবে সঙ্গ দাও (বসবাস কর)।”[সূরা লোকমান, আয়াত: ১৫]
তাবারী বলেন: “দুনিয়াতে তাদের অনুগত হয়ে তাদের সঙ্গ দাও; যে ক্ষেত্রে তাদের আনুগত্য করলে তোমার মাঝে ও তোমার রবের মাঝে কোন গুনাহ হবে না।”[সমাপ্ত] জামেউল বায়ান (১৮/৫৫৩]
ইবনে আশুর বলেন: (আয়াতে) معروف শব্দের অর্থ হচ্ছে, সর্বজন পরিচিত ও সর্বগ্রাহ্য বিষয়; যা কেউ অগ্রাহ্য করে না। আর সেটা হচ্ছে ভাল জিনিস। অর্থাৎ তোমার পিতামাতার সাথে ভাল সঙ্গ দাও।”।[তাহরীর ও তানবীর (২১/১৬১)]
নিঃসন্দেহে এটি কোমল আচরণ, পরামর্শ করা ও মধুর ব্যবহারকে অন্তর্ভুক্ত করবে।
যদি কোন মুসলিম পাত্রের ব্যাপারে আপনারা একমত হতে না পারেন তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার একক সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আপনার উপর তাদের কোন কর্তৃত্ব নেই। কেননা বিবাহের ক্ষেত্রে ও অন্যান্য ক্ষেত্রে কোন মুসলিম নারীর ওপর অমুসলিমের কোন কর্তৃত্ব নেই।
সারকথা হলো, আপনার বিয়ের অভিভাবকত্ব আপনার কোন মুসলিম নিকটাত্বীয়কে গ্রহণ করা ফরয। যদি এমন কেউ না থাকে তাহলে কোন ইসলামী সেন্টারের পরিচালক কিংবা কোন মসজিদের ইমাম আপনাকে বিয়ে দিতে পারেন।
আল্লাহ্ই ভাল জানেন।